
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গণহারে পদত্যাগ করছেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাত ১০টার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ফেসবুকের’ প্রোফাইলে পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
জানা যায়, বর্তমানে কোটা সংস্কারের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার কারণে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হল, শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত হল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। এরইমধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের ১৬তম ব্যাচের সব মেয়ে ছাত্রলীগ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। তারা আর ছাত্রলীগের কোনো প্রোগ্রামে যাবে না। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, একজন ছাত্র হয়ে আরেকজন ছাত্রের শরীরে এমন নির্মমভাবে যারা আঘাত করতে পারে সেই দল থেকে তারা ইস্তফা নিয়েছেন।
পোস্টগুলোতে উল্লেখ করা হয়, অতীতে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম; এটা জেনে যে ছাত্রলীগ ছাত্রদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করে। তবে বর্তমান ছাত্রলীগ যা বুঝাইলো এতে এই মুহূর্ত থেকে আমি আর কোনোভাবেই ছাত্রলীগের কোনো কর্মকাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত না।
নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রথম পদত্যাগকারী নুসরাত জাহান সুরভী বলেন, ‘আপনিও মানুষ আমিও মানুষ, আপনিও জানেন দেশে কি হচ্ছে! সেই মানবিক দিক বিবেচনা করে আমি শাখা ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেছি।’
পদত্যাগকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘দুনিয়াই সবকিছু না, আখেরাত বলেও কিছু আছে। যে সংগঠনের কেউ মারা গেলে সবাই আলহামদুলিল্লাহ পড়ে এমন সংগঠনে আমার নাম না থাকুক।’
আরও পড়ুন: