
ধর্ষণে সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় বাবুলাল মণ্ডল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন তাকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করেন। আটককৃত বাবুলাল মণ্ডল (৫০) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের নাগবাটি গ্রামের বিষ্ণুপদ মণ্ডলের ছেলে।
এদিকে নাগবাটি গ্রামের বাবুলাল মণ্ডল জানান, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার ঘটনায় ওই মেয়ে একই এলাকার কিংফিশার পরিবহণের শ্যামনগর কাউন্টার পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত মুছা গাজীর দাদা বাচা গাজীর নাম বলে। পরে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মুছা গাজী বুধবার বিকালে তাকে তার বাড়ি থেকে কিংফিশার পরিবহণ কাউন্টারে ডেকে আনে। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই মেয়েটির অন্তঃসত্ত্বার ঘটনা তাকে স্বীকার করতে বলে। স্বীকার করলে পুলিশকে কিছু টাকা দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে দেবে বলে জানায় মুছা। রাজি না হওয়ায় পুলিশকে দিয়ে তাকে তুলে এনে মিথ্যা মামলা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তবে এলাকার একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বাবুলাল মণ্ডল একজন সুদখোর। তাকে বাগে ফেলতেই এ ধরনের সাজানো নাটক করা হচ্ছে। তবে মেয়েটির বাবা বা পরিবারের কারো সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মেয়েটির চাচা মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে সঠিক কিছু বলা কঠিন। এ ধরনের ঘটনায় মেয়েটির কাছ থেকে ভালোভাবে জেনে কাউকে দায়ী করা উচিত।
তবে মুছা গাজী বুধবার বিকালে বাবুরাম মণ্ডলকে তার কাউন্টারে ডেকে এনে ওই মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা স্বীকার করে বলেন, মেয়েটি বাবুলালের দোষ দিয়েছে কিন্তু বাবুলাল অস্বীকার করেছে। তবে তার দাদার বিরুদ্ধে ওই মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ আছে কিনা তা তিনি বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ১৪ বছরের এক মেয়েকে অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগে বাবুলালকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: