
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার ঘানার সংসদে ভাষণ দিয়েছেন। দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী বন্ধুত্ব এবং ভাগাভাগি মূল্যবোধের প্রতি তাঁকে প্রদত্ত মর্যাদাপূর্ণ ‘অফিসার অব দ্য অর্ডার অফ দ্য স্টার অফ ঘানা" উৎসর্গ করেন তিনি।
এর আগের দিন বুধবার ঘানার রাষ্ট্রপতি জন মাহামা দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান "দ্য অফিসার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য স্টার অফ ঘানা" প্রদান করেন নরেন্দ্র মোদীকে । এই সম্মানের জন্য ঘানার রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান মোদী। এটিকে ‘অসাধারণ গর্বের বিষয়" বলে অভিহিত করেন তিনি। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের পক্ষ থেকে আফ্রিকান জাতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মোদী।
মোদী বলেন, গত সন্ধ্যাটি ছিল একটি হৃদয়স্পর্শী অভিজ্ঞতা। আমার প্রিয় বন্ধু, রাষ্ট্রপতি মাহামার কাছ থেকে আপনার জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ একটি সম্মান। আমি সর্বদা এটি লালন করব। ভারতের ১.৪ বিলিয়ন জনগণের পক্ষ থেকে আমি ঘানার জনগণকে এই পুরস্কারের জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমি এটি ভারত ও ঘানার মধ্যে স্থায়ী বন্ধুত্ব এবং ভাগাভাগি মূল্যবোধের প্রতি উৎসর্গ করছি।
গণতন্ত্র, মর্যাদা এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির অবিচল অঙ্গীকারের জন্য প্রশংসা করেন মোদী। এটিকে আফ্রিকা মহাদেশের জন্য ‘অনুপ্রেরণার আলোকবর্তিকা’ বলে অভিহিত করেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সংযোগের কথা তুলে ধরে কেবল তার প্রাকৃতিক সম্পদের জন্যই নয়, বরং এর জনগণের উষ্ণতা এবং শক্তির জন্যও ঘানার প্রশংসা করেন মোদী।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঘানা সোনার দেশ হিসেবে পরিচিত। কেবল মাটির নিচে যা আছে তার জন্যই নয়, বরং হৃদয়ের উষ্ণতা এবং শক্তির জন্যও। আমরা যখন ঘানার দিকে তাকাই, তখন আমরা এমন একটি জাতিকে দেখতে পাই যারা সাহসের সাথে দাঁড়িয়ে আছে এবং ইতিহাসের ঊর্ধ্বে উঠে প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে মর্যাদা ও সৌন্দর্যের সাথে মোকাবেলা করে। গণতান্ত্রিক আদর্শ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অগ্রগতির প্রতি আপনার অঙ্গীকার ঘানাকে সত্যিই সমগ্র আফ্রিকা মহাদেশের জন্য অনুপ্রেরণার আলোকবর্তিকা করে তুলেছে।
২ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাঁচটি দেশের সফরের প্রথম যাত্রা ঘানা, যার মধ্যে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং নামিবিয়া সফর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঘানায় কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এটি প্রথম সফর। এই সফর ভারত-ঘানা অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করবে এবং আফ্রিকা এবং গ্লোবাল সাউথের সাথে নয়াদিল্লির অব্যাহত সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: