মুম্বাইয়ের পূর্ব বান্দ্রায় নিজ ছেলের অফিসের বাইরের রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে। তার উপর গুলি চালায় তিন দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সাবেক এই মন্ত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
তার এই মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে বলিউডে। কারণ বলিউডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বাবা সিদ্দিকির। বিশেষ করে সালমান ও শাহরুখ ছিলেন তার পছন্দের দু’জন মানুষ। এই দুই নায়কের মাঝে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব মিটিয়েছিলেন তিনিই।
এদিন বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর খবর পেয়ে বিগবসের শুটিং বাতিল করে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে যান সালমান খান। চোখমুখ থমথমে ছিল তার। সিদ্দিকির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল অভিনেতা সঞ্জয় দত্তেরও। এদিন হাসপাতালে ছুটে আসেন তিনিও। পাশাপাশি দেখা মিলেছে অভিনেত্রী শিল্পা শেঠিরও।
বিনোদন জগতের মানুষদের সঙ্গে নিত্য উঠাবসা ছিল বাবা সিদ্দিকির। বিপুল সম্পত্তির মালিক বাবা সিদ্দিকি। একটা সময় নিজেও অভিনয়ের দুনিয়ার মানুষ ছিলেন। তবে রাজনীতিক হিসাবেই পরিচিতি পেয়েছেন। সালমান থেকে শাহরুখ, ক্যাটরিনা থেকে প্রীতি জিন্টা-বাবা সিদ্দিকির ইফতার পার্টিতে হাজির থাকতেন বলিউডের প্রথম সারির তারকারা।
২০১৪ সালে বাবা সিদ্দিকীর ইফতার পার্টিতে সালমনাকে বুকে টেনে নিয়েছিলেন শাহরুখ। যেটা আগে থেকেই নাকি পরিকল্পনা ছিল সাবেক মন্ত্রীর। ইফতার পার্টিতে শাহরুখের পাশে বসেছিলেন সালমানের বাবা, বর্ষীয়ান চিত্রনাট্যকার সেলিম খান।
পার্টিতে আমন্ত্রিত সালমান টেবিলের কাছে আসার আগে শাহরুখ , সেলিম খানের সঙ্গে গল্প করছিলেন। সালমান হেঁটে আসতেই শাহরুখ উঠে দাঁড়ান এবং একে অপরকে আলিঙ্গন! ব্যাস, এক চুটকিতেই বলিউডের দুই সুপারস্টারে বড় বিরোধ নিমেষে শেষ হয়। এরপর দুজনকেই বুকে টেনে নেন বাবা সিদ্দিকি।
ইন্ডিয়া টিভি নিউজ জানাচ্ছে, এই হত্যকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তিনি জানান, ‘ইতিমধ্যেই ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জনেই উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার বাসিন্দা। তৃতীয় অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছে। তাকে শিগগির ধরে ফেলবে মুম্বাই পুলিশ।’
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে সালমান খানকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: