পাকিস্তান তার দেশে তৈরি সন্ত্রাসী বাহিনীকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত তার সাথে কোনও সংলাপ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন শশী থারুর। ভারতের সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদানকারী এই কংগ্রেস সাংসদের ভাষ্য, ভারত বোঝে যে সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে হবে। কিন্তু তারা কপালে বন্দুক তাক করে সংলাপে বিশ্বাস করে না।
কলম্বিয়া কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসে চিন্তাবিদদের সাথে আলোচনার সময় থারুর উল্লেখ করেন, মহাত্মা গান্ধীও শান্তিতে বিশ্বাস করতেন। তবুও তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
শশী থারুর বলেন, ‘আমি চাই আপনি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে পারেন। শান্তির গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করি না। আমরা মহাত্মা গান্ধীর ভূমির বাসিন্দা, যিনি আমাদের শান্তির গুরুত্ব শিখিয়েছিলেন - "অহিংসা"। কিন্তু একই সাথে আমাদের জন্য শান্তির সাথে আত্মসম্মান থাকতে হবে। স্বাধীনতার সাথে ভয় থেকে মুক্তি থাকতে হবে। মনে রাখবেন, মহাত্মা গান্ধী একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ ছিলেন। কিন্তু তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বও দিয়েছিলেন। তাই আপনি কেবল চুপচাপ বসে থাকবেন না। বরং আপনার বিশ্বাসে যা সঠিক, তা সমর্থন করুন। সন্ত্রাসবাদের মুখোমুখি হওয়ার সময় ভারত ঠিক এটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শশী থারুর আরও বলেন, "যদিও আমরা বুঝতে পারি যে সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে হবে, আমরা কপালে বন্দুক তাক করে সংলাপে বিশ্বাস করি না। যখন পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে, তখন আমরা সংলাপের কথা বলতে পারি। ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই লোকদের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত নই।’
শশী থারুর তার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের ঐক্যের কথাও তুলে ধরেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রতিনিধিদলে পাঁচটি ভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন ধর্মের মানুষ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন:
