
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, ইরান সম্পর্কে ইসরায়েল ভুল গণনা করেছে, যা তেহরান ঠিক করে দেবে। তিনি আরও বলেন, তারা ইরানকে জানে না এবং ইরানি জাতির শক্তি-সামর্থ্য এবং ইচ্ছা বুঝতে পারেনি, আমাদের অবশ্যই তাদের বোঝাতে হবে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত রাজধানী তেহরান ও পশ্চিমাঞ্চলীয় দু’টি প্রদেশের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের একাধিক সামরিক ও মিসাইল ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিল তারা।শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে ইরানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তাদের আক্রমণ সফল হয়েছে এবং যেসব লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে সবগুলোই লক্ষ্যপূরণ করেছে।
অন্যদিকে ইরান বলেছে, সীমিত পরিসরে সামান্য ক্ষতি হয়েছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় তাদের চার সেনা নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে ইরান দাবি করেছে, ইসরায়েলের ‘সন্ত্রাসী আগ্রাসনের’ বিপরীতে তাদের ‘আত্মরক্ষার’ অধিকার রয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সায়েদ আব্বাস আরাকচি জাতিসংঘের কাছে এক চিঠিতে এই মন্তব্য করেন। ইসরায়েলের হামলার পর গতকালই প্রথম খামেনি বক্তব্য রাখলেন। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, খামেনি অত্যন্ত কৌশলী বক্তব্য দিয়েছেন। এতে স্পষ্ট বলা হয়নি, তারা পাল্টা হামলা করবে কিনা। খামেনি বলেছেন, এই হামলাকে ‘হালকাভাবে’ নেওয়া উচিত হবে না, আবার ‘অতিরঞ্জিতও’ করা যাবে না।
এদিকে এই হামলার জবাবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালাবে বলে জানিয়েছে তেহরান। দেশটির আধা সরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজকে এমন তথ্য জানিয়েছে সরকারি একটি সূত্র। পাল্টা হামলা চালানোর জন্য ইরান প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সূত্রটি বলেছে, কোনো সন্দেহ নেই ইরানের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের আগ্রাসনের জবাব ইসরায়েল পাবে।
গত ১ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮১টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে ইরান। সাবেক হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং চৌকস বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার আব্বাস নিলফোরোসানকে হত্যার জবাব দিতে এসব মিসাইল ছোড়ে তেহরান। এতে লক্ষ্য করা হয় দখলদার ইসরায়েলের বিমান ঘাঁটি। ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় ওই ভূখণ্ডকে অধিকৃত ফিলিস্তিনের অংশ হিসেবে অভিহিত করে থাকে ইরান।
আরও পড়ুন: