
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা থামছেই না। একের পর এক দাবি নিয়ে আন্দোলন ও নানা কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন শিক্ষকরাও। দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবস্থান নিচ্ছেন।
এতে তীব্র যানজটের পাশাপাশি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারকে চাপে ফেলে একটা দাবি পূরণ হওয়ার পর সামনে হাজির হচ্ছে আরও একাধিক ইস্যু। এমনিভাবে কয়েকদিন সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচির জেরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি মেনে নেয় সরকার। এরপর মাঠে নামে ঢাকার সাত কলেজ ও তিতুমীর কলেজসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত অবস্থা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই চলছে অস্থিরতা। শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব দাবি আদায়ে আন্দোলনের পেছনে রাজনৈতিক বিষয় জড়িয়ে আছে।
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের সময়ে অনেকেই কোনো দাবি তুলতে পারেননি। তাই অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর থেকেই নানা দাবি নিয়ে মাঠে নামতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
এছাড়া ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক স্বার্থেও অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছে কোথাও কোথাও। শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের চেয়েও আন্দোলন-কর্মসূচিতে বেশি মনোযোগী হয়ে পড়ছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের আলাপ হলেও তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রকাশ করা হয়নি।
পাশাপাশি ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়েও ছাত্র সংগঠনগুলোর মতানৈক্য রয়েছে। তারা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন গোষ্ঠীর স্বার্থ হাসিলে অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে কেউ কেউ। এমনকি মব সৃষ্টি করে শিক্ষকদের নির্যাতন ও পদত্যাগে বাধ্য করারও অভিযোগ রয়েছে। পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলনেও জড়িয়ে পড়ছেন অনেকে। এতে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই চলছে এক ধরনের অস্থিরতা।
আন্দোলন প্রসঙ্গে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী যুগান্তরকে বলেন, আমাদের প্রথম দাবি ছিল ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের নিয়ে। ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের সমস্যার যে সমাধান সেটি আমরা এখনো দেখতে পাইনি। আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি।
আরও পড়ুন: