সিলেটে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ ৮৭ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) সিলেট মেট্রোপলিটন প্রথম ও দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নগরের ইলেকট্রিক সাপ্লাই কলবাখানি এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে জুবের আহমদ।
বাদীর অভিযোগ, গত ৪ আগস্ট নগরের কোর্ট পয়েন্ট ও বন্দরবাজার এলাকায় ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ও নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় বাদী নিজেও গুলিবিদ্ধ হন। এতে আওয়ামী লীগ সরকারের ৭ জন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, সাবেক আইজিপি, এমপি, মেয়রকে আসামি করা হয়েছে। আসামি হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গগসংগঠনের নেতাকর্মীরাও।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বারাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান মাহমুদ, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন-অর রশিদ, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার, সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান।
আসামির তালিকায় আরও আছেন সাবেক ওসমানীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ ওরফে ভিপি শামীম, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজ, বিয়ানীবাজারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহেল আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি পিযুষ কান্তি দে, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ, সিলেট সিটি করপোরেশনের পাবলিক রিলেশন অফিসার ও মেয়রের এপিএস সাজলু লস্কর, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান, তার সহযোগী পাঙ্গাস, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, হবিগঞ্জের ১১নং গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজের ছেলে রুহুল আমিন শিবলু, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য কামরান আহমদ,৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রেদুয়ান আহমদ, মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমদ, ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল আহমদ, জেলা ছাত্রলীগ নেতা জনি, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, সিসিকের ৩৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম।
এ ছাড়াও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য ও চেম্বারের সাবেক সভাপতি তাহমিন আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিঠু, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার, সদস্য নেতা শাহ ফয়েজ, সৈয়দ তকিউর রহমান, আনিছ মাহমুদ, আব্দুল হামিদ তৌহিদ, নুর ইসলাম, মইনুল ইসলাম, মিসা সুমন, সিলেট সিটি করপোরেশনের বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আবুল ফজল খোকন, দক্ষিণ সুরমা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নেছার আলী, সিলাম ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল মিয়া, সিলাম ইউপি জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক বাবুল মিয়া, শাহ দেলোয়ার মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আশরাফ খান মাসুম, সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, ১৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শেবুল আহমদ ওরফে সাগর, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াসুর রহমান দিনার, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা নজরুল ইসলাম ও মঈন উদ্দিন, কানাইঘাট উপজেলার ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মকরম আলী, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ফয়সল আহমদ, উপজেলার ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, কানাইঘাট ইউপির ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, নগরের মাছিমপুর এলাকার দিপু আহমদ, সিসিকের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুগনি খোকা, মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিমাদ আহমদ রুবেল, সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউপি আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক বতু শাহ, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল হামিদ তাহমিদ।
এ ছাড়াও অতিরিক্ত উপ কমিশনার (ক্রাইম ও উত্তর) সাদেক দস্তগীর কাউছার, অতিরিক্ত উপ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, সহকারি পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী) মিজানুর রহমান, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আবু সুফিয়ান, কোতোয়ালির থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন, কোতোয়ালির ওসি তদন্ত ফজলুর রহমান, বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামী, এসআই কাজি রিপন সরকার, কনস্টেবল সেলিম মিয়া, কনস্টেবল আজহার, কনস্টেবল ফিরোজ ও উজ্জলসহ অজ্ঞাত আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: