চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই সময়ে বোলাররা উইকেট থেকে বাড়তি কোনো সুবিধা পাননি। হাসান মাহমুদ-মেহেদি মিরাজদের বিপক্ষে 'ওয়ানডে স্টাইলে' ব্যাটিং করেছে প্রোটিয়ারা। অথচ সেই উইকেটে ব্যাট করতে নেমেই রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৭ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩২ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
নতুন বলে শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেননি বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন সাদমান। রান খরায় ভুগতে থাকা এই ওপেনার লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরের এক বলে উইকেট বিলিয়ে এসেছেন। যা টেস্টে রীতিমতো আত্মহত্যার সামিল!
পঞ্চম বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন কাগিসো রাবাদা। সেখানে সাদমান ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন। তাতে বল এজ হয়ে যায় উইকেটকিপার ভেরেইনার হাতে। আম্পায়ার শুরুতে সাড়া না দিলে রিভিউ নেন মার্করাম। আল্ট্রাএজে সাদমানের ব্যাটে বড় এজ ধরা পড়ে।
সাদমান ডাক খেয়ে ফেরার পর তিনে ব্যাট করতে আসেন জাকির হাসান। এই টপ অর্ডার ব্যাটার সিরিজে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে শুরু থেকেই বেশ ভুগেছেন। যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন তার পুরো সময়ই অস্বস্তিতে ভুগেছেন। শেষ পর্যন্ত তাকে মুক্তি দিয়েছেন রাবাদা। এই ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরে করা বলটিকে ব্যাক ফুট পাঞ্চ করতে চেয়েছিলেন জাকির। তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল জমা পড়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮ বলে ২ রান।
মিপুরে তুলনামূলক ভালো ব্যাটিং করা জয়ও আজ ব্যর্থ। দেখে-শুনে খেলার চেষ্টা করছিলেন এই ওপেনার। তবে হঠাৎ কী মনে করে অফ স্টাম্পের বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গেলেন, তাতে ঠিকমতো টাইমিং হয়নি। ব্যাট ছুঁয়ে বল যায় উইকেটের পেছনে। ডেন প্যাটারসনের বলে মার্করামের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২১ বলে ১০ রান করেছেন জয়।
২৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর নাইটওয়াচম্যান হিসেবে এসেছিলেন পেসার হাসান মাহমুদ। তাকে দেওয়া দায়িত্ব তিনি পালন করতে পারেননি। স্পিনার কেশব মহারাজের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন হাসান। তাতে ৩২ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: