Deprecated: str_replace(): Passing null to parameter #3 ($subject) of type array|string is deprecated in /home/ph4m74q3/public_html/common/config.php on line 186
এক যুগ পর বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি নেতা কাইয়ুম

এক যুগ পর বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি নেতা কাইয়ুম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ০৬:৫৪ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২৪ শনিবার

দীর্ঘ প্রায় এক যুগের বেশি সময় পর বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. এম এ কাইয়ুম।

শুক্রবার আসর নামাজের পর নরসিংদীর রায়পুরার বেলাবোতে নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বাবা মায়ের কবর জিয়ারত করেন তিনি।

এ সময় আত্মীয়-স্বজন, স্থানীয় নেতাকর্মী ও মুসল্লীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর জেল জুলুম মাথায় নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে মালয়েশিয়ায় পুলিশের কাছে আটক হন এম এ কাইয়ুম।

২৪ জানুয়ারি অভিবাসন বিভাগ থেকে নির্বাসনের চিঠি পেয়ে কাইয়ুমের পরিবার আইনজীবীর মাধ্যমে সেদেশের আদালতে যান।

কাইয়ুমকে দেশে ফেরত পাঠানো হলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে জানিয়ে তার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করে পরিবার।

৩১ জানুয়ারি কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট অভিবাসন বিভাগকে আদালতের একটি আদেশ মেনে চলতে বাধ্য করে যাতে ৫ এপ্রিল হ্যাবিয়াস কর্পাস আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এমএ কাইয়ুমের নির্বাসন স্থগিত করা হয়।

২০১৩ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় 'সেকেন্ড হোম' হিসেবে অবস্থান করছেন এমএ কাইয়ুম। এর পাশাপাশি জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তালিকাভুক্ত শরণার্থী হিসেবেও মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন তিনি।

২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান ২-এর ৯০ নম্বর সড়কে ইতালির নাগরিক তাভেল্লা চেজারকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় তৎকালীন সময়ে দেশে-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর বিএনপি নেতা ড. এম এ  কাইয়ুমকে প্রধান আসামিসহ  ৭ জনকে আসামি করে অভিযোগ গঠন করে। ও আদালত বিচার শুরুর আদেশ দেয়। এরপর ঐ বছরের ২৪ নভেম্বর শুরু হয় সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া। সাক্ষী করা হয় ৭১ জনকে। এখন পর্যন্ত এ মামলায় ৪৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। মহামারি এবং বিভিন্ন সরকারি ছুটির কারণে মামলার অন্য সাক্ষীরা আদালতে আসেননি। 
 
এ সময় থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন এম এ কাইয়ুম।

বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সম্পাদক এম এ কাইয়ুম এক সময় ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এছাড়াও রাজধানীর বাড্ডা এলাকার সাবেক এই ওয়ার্ড কমিশনার ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে গুলশান-বাড্ডা ও ভাটারার আসন থেকে বিএনপি ও চার দলীয় জোটের প্রার্থী ছিলেন।