ঢাকা শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ 

করাচির রাস্তায় ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ভীত সন্ত্রস্ত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:০৭, ২ মে ২০২৪

শেয়ার

করাচির রাস্তায় ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ভীত সন্ত্রস্ত

পাকিস্তানের করাচিতে গত মাসের শুরুর দিকে নিজ বাসা থেকে বেরিয়ে এটিএম বুথে টাকা তুলতে যাচ্ছিলেন সৈয়দ তুরাব হোসাইন জাহিদী। এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার পরই তারা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলেন।

আরব নিউজ জানিয়েছে, ছিনতাইকারীরা তাদের কাছে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র দিয়ে দিতে বলে। জাহিদীর বন্ধু ছিনতাইকারীদের কথা অনুযায়ী যখন সায় দিচ্ছিলেন, তখনই প্রতিরোধ করে বসেন জাহিদী। এরপরই ছিনতাইকারীরা জাহিদীকে গুলি করে হত্যা করে।

পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র করাচির রাস্তায় গতবছর ছিন্তাই ও ডাকাতদের কবলে পড়ে যে ৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, তাদেরই একজন ৩৮ বছর বয়সী এই জাহিদী।

দুই কোটি জনসংখ্যার করাচিতে রয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দশকের পর দশক ধরে শহরটি সশস্ত্র সহিংসতায় আক্রান্ত। সশস্ত্র গ্যাং এবং সন্দেহভাজন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পুলিশ, আধা-সামরিক রেঞ্জার্স এবং গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় সেনাবাহিনীর সশস্ত্র অভিযানে ২০১৩ সালের পর খুন অপরাধের হার কমে গিয়েছিল। কিন্তু কত বছর থেকে করাচির রাস্তায় আবারো অপরাধ বেড়েছে। ছিনতাই-ডাকাতি এবং গুলি করে হত্যার ঘটনা প্রতিদিনই খবরের কাগজের শিরোনাম হচ্ছে।

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সরকার গত সপ্তাহে বলেছে, করাচির রাস্তায় সহিংসতা ও অপরাধ দমনে তারা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। কিন্তু ভুক্তভোগীদের পরিবার এখনো হতাশ।

ছিনতাইকারীদের গুলিতে নিহত জাহিদের বাবা ৭৫ বছর বয়সী সৈয়দ নিসার হোসাইন বলেন, তার ছেলেকে ছিনতাইকারীরা মানুষই মনে করেনি। তাকে গুলি করে হত্যা করেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি এবং সেনাবাহিনী প্রধানের কাছে এসব ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান নিসার হোসাইন। অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে তিনি জানান, এসব ঘটনায় বিচারের হার খুবই কম, মাত্র ১১ শতাংশ

novelonlite28
umchltd