ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ 

‘নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে’ পাকিস্তান সেনাবাহিনী’

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:১৫, ৩১ মার্চ ২০২৪

শেয়ার

‘নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে’ পাকিস্তান সেনাবাহিনী’

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোওয়ার শাংলা জেলায় আত্মঘাতী হামলায় পাঁচ চীনা নাগরিকসহ ছয়জনের নিহতের ঘটনায় ওই অঞ্চলে দেশটির সেনাবাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক রাজনৈতিক কর্মী। আমজাদ আইয়ুব মির্জা নামে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ওই ব্যক্তি বলেন, শাংলায় সংঘটিত ঘটনার তাৎপর্য হল- পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এই অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। অপরদিকে বেলুচ যোদ্ধারা শক্তিশালী হচ্ছে।

তিনি বলেন, “আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, এই পথে চীনা নাগরিকরা এবারই প্রথম আক্রমণের শিকার হয়নি। ২০২১ সালে  একটি বাসে আত্মঘাতী হামলা হয়েছিল এবং ওই ঘটনায় নয় চীনা প্রকৌশলী প্রাণ হারিয়েছিলেন। এসব ঘটনায় চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে অসন্তোষ বেড়েছে।”

গত ২৬ মার্চ দাসু বাঁধ প্রকল্পের পাঁচ চীনা প্রকৌশলী বিশাম এলাকায় কারাকোরাম হাইওয়েতে হামলায় নিহত হন। একটি বিস্ফোরক বোঝাই  গাড়ি তাদের বহনকারী বাসকে গিয়ে ধাক্কা দেয়। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করেনি। বেলুচ বিদ্রোহীরা একটি নৌ ঘাঁটিতে হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর এই হামলা চালানো হয়।

আমজাদ বলেন, “এই আক্রমণটি অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে। কারণ এটি ‘সাব-কন্ট্রাক্টের’ কাজ বলে মনে হচ্ছে। অর্থাৎ একটি গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীকে দিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে। যেমন- বেলুচ লিবারেশন আর্মি বা অন্যান্য সংগঠনগুলো হামলা চালানোর জন্য তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের মত অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে ‘সাব-কন্ট্রাক্ট’ করতে পারে।”

বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করা চীনা নাগরিকদের প্রায়ই পাকিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো হুমকি দেয় জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা চীনাদের সম্পত্তির ওপর আক্রমণের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা দেখছি। এই সমন্বিত আক্রমণ দুটো বিষয় নির্দেশ করে; প্রথমত, এটা বোঝায় যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এই অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এটি বেলুচ যোদ্ধাদের ক্রমবর্ধমান শক্তি ও স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। আমি মনে করি এটি বেলুচ সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়।”

novelonlite28
umchltd