ঢাকা রোববার, ১১ মে ২০২৫ 

বুকে পরপর দুটি গুলি, ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালেন রোহিঙ্গা যুবক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:৫৯, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

শেয়ার

বুকে পরপর দুটি গুলি, ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালেন রোহিঙ্গা যুবক

কক্সবাজারের উখিয়ার মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-৪) সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইমাম হোসেন (৩০) নামের এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে আশ্রয়শিবিরের এফ-১৬ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইমাম হোসেন পাশের কুতুপালং (ক্যাম্প-১ ইস্ট) আশ্রয়শিবিরের জি-১২ ব্লকের বাসিন্দা মনির উল্লাহর ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরের একটি দোকানের সামনে ছিলেন ইমাম হোসেন। এ সময় একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইমাম। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইমামের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা নেতা নুরুল ইসলাম বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ১০-১২ জন সদস্য ইমাম হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাঁর বুকে পরপর দুটি গুলি করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ইমামের মৃত্যু হয়েছে। ইমাম মিয়ানমারের আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সমর্থক বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, গত ৩০ নভেম্বর মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরের একটি ঘরে ঢুকে সৈয়দ আলম (২৪) নামের আরেক রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করে আরসা সন্ত্রাসীরা। নিহত সৈয়দ ওই আশ্রয়শিবিরের ই-৪ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ মুচির ছেলে। সৈয়দ আলম একসময় আরসার সমর্থক ছিলেন। কয়েক মাস আগে তিনি আরএসওতে যোগ দেওয়ায় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গত নভেম্বর মাসে মিয়ানমারের দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় একজন রোহিঙ্গা মাঝি, একজন আরসা সদস্যসহ তিন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সাড়ে আট মাসে আশ্রয়শিবিরে ৫৯টি সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৭১ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জন রোহিঙ্গা মাঝি, ২১ জন আরসার সদস্য, ৪ জন আরএসওর সদস্য, ১ জন স্বেচ্ছাসেবক ও অন্যরা সাধারণ রোহিঙ্গা।

বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩ আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। এর মধ্যে ৮ লাখ এসেছে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরের কয়েক মাসে। গত ছয় বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।

novelonlite28
umchltd