
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৩৩ থানার ওসির বদলির তালিকা তৈরি করে তা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তবে তাঁদের যেন ঢাকাতেই রাখা হয়, তালিকায় সেই প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ঢাকা মহানগরে ৫০টি থানার মধ্যে যেসব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বর্তমান কর্মস্থলে ৬ মাসের বেশি সময় পার করেছেন, তাঁদের এই বদলির তালিকায় রাখা হয়েছে। বুধবার বা বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর ওসিদের বদলির আদেশ জারি করা হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যেসব ওসি বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন প্রথমে তাঁদের ও পরে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ওসি বদলির নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও আইজিপিকে চিঠি পাঠিয়ে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ওসিদের বদলির প্রস্তাব ইসিতে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
ডিএমপি সূত্র জানায়, ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে বদলির তালিকা করে নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর প্রস্তাবে ৩৩ ওসিকে বর্তমান কর্মস্থলের পাশের নির্বাচনী এলাকা, অর্থাৎ তাঁদের রাজধানী ঢাকাতেই রাখার কথা বলা হয়েছে।
ডিএমপির ৫০ থানার মধ্যে অন্তত ২১ থানার ওসি ডিএমপিতেই দুই বছরের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ঘুরেফিরে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় থাকছেন ১৩ ওসি। দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে থানার ওসিদের বদলির নিয়ম রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা।
পুলিশের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ঢাকায় ওসি হওয়ার ‘মূল যোগ্যতা’ হচ্ছে রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ। স্বাভাবিকভাবেই এ পন্থায় নিয়োগ পাওয়া ওসিরা অনেকের নির্দেশ মানতে চান না। তাঁদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও সহজে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। দিনের পর দিন তাঁরা ডিএমপিতেই কাটিয়ে দিচ্ছেন।
গত রোববার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছিলেন, হঠাৎ ঢাকার বাইরে থেকে কোনো ওসিকে ডিএমপিতে এনে দায়িত্ব দেওয়া হলে কিছু বুঝে উঠতে পারবেন না। অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতেই ওসিদের ঘুরেফিরে ডিএমপিতে রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: